ফরিদপুরে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান নষ্ট!

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের শেখর গ্রামে।

গৃহবধূ জাকিয়া রহমানের স্বামী মো. তারেক আব্দুল্লাহ জানান, আমার স্ত্রী ৪ মাসের অন্তঃসত্বা। আমি আমার স্ত্রীকে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌর বাজারের অবস্থিত পপুলার ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গাইনি বিভাগের ডা. তানজিলা রহমান রিতুকে দেখায়। তাকে দেখানোর পর সে (ডাক্তার) বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে ওষুধ লেখে দেন। ওই ওষুধের মধ্যে কেটাগেরি সি নামের একটি ট্যাবলেট দেন।

যে ট্যাবলেটটি গর্ভবতী মহিলাকে খাওয়ালে তার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। সেই ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর ওই গর্ভবতি মহিলার ব্লেডিং হতে থাকে। বর্তমানে ওই মহিলা চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে পপুলার ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিক বায়োজিদ মোল্যা বলেন, অনেক দিন ধরে আমার ক্লিনিকে ওই ডাক্তার এসে রোগি দেখেন। আর কেটাগেরি নামের যে ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে তাতে তো পেটের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার কথা না।

ডাক্তার ডা. তানজিলা রহমান রিতু বলেন, এই রকম ওষুধ ফরিদপুরের এক ডাক্তারকে দিতে দেখেছি। তাই আমিও দিয়েছি।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রোর প.প. কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস বলেন, কেটাগেরি ট্যাবলেট কয়েকটি প্রকারের আছে। কেটাগেরি এ-গর্ভের সন্তানের কোন ক্ষতি করে না। কেটাগেরি বি কোন গর্ভবতি মহিলাকে দিলে সামান্য ক্ষতি করে।

আর কেটাগেরি সি ট্যাবলেট যে কোন গর্ভবতিকে দিলে তার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি। কেটাগেরি সি ট্যাবলেট গর্ভবতি মহিলাদের দেওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, পপুলার ডায়াগনিস্টিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment